লিবিয়া থেকে ইতালির লাম্পেদুসায় যাওয়ার সময়ে নিহত ৭ বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহভাজন এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতালির সিসিলি থেকে গ্রেফতার সন্দেহভাজন ওই পাচারকারী মিশরীয় নাগরিক বলে জানিয়েছেন দেশটির স্থানীয় পুলিশ।
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছাতে গিয়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৭ বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় জড়িত মানব পাচার চক্রের হোতাদের খুঁজতে তদন্ত শুরু করে ইতালি পুলিশ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ৩৮ বছর বয়সী এক মিশরীয় নাগরিককে মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করে দেশটির সিসিলি দ্বীপের পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি লিবিয়া থেকে ১৬ মিটার দীর্ঘ একটি নৌকায় ২৮৭ অভিবাসীকে ইতালিতে পাচারের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। যেই নৌকায় অভিবাসীদের তোলা হয়েছিল সেটি ছিল একটি অস্থায়ী নৌকা। সেদিন সমুদ্রের তাপমাত্রা ছিল শূন্য ডিগ্রীর কাছাকাছি। এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে অভিবাসীদের পাচার করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার প্ররোচনার দায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
মূলত, এই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন পাচারকারীকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় ইতালীয় পুলিশ। এই গ্রেফতারের খবর ঘোষণার সময় সিসিলিয়ান শহর এগ্রিজেনটোর পুলিশ জানায়, “এই ব্যক্তি ইতোপূর্বে ২০১১ সালে একজন মানবপাচারকারী হিসেবে সিসিলির আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।” সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।